সর্বশেষ:. . .

8/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

Responsive Advertisement

বাম্পার ফাতেমা ধানের ফলন বিঘায় ৪৩ মন

 


নিজের উদ্ভাবিত নতুন জাতের ধান চাষ করেছেন কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার কৃষক মিলন হোসেন। এক বিঘা জমিতে আবাদ করে তিনি ধান পেয়েছেন ৪৩ মণ, যা সাধারণ ধানের তিনগুণ। ধানের কোনো নাম নেই, তাই তিনি তার মেয়ের নামানুসারে ধানের নাম রেখেছেন ফাতেমা ধান

এদিকে তার সফলতা দেখে ধানের বীজ সংগ্রহে দূর-দূরান্ত থেকে আসছেন অনেকে। একই সঙ্গে বীজ গবেষণাগারে পাঠিয়েছে কৃষি বিভাগও

মিলন হোসেন কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার সদরপুর ইউনিয়নের চকগ্রামের বাসিন্দা। পেশায় তিনি একজন ছোট মুদি দোকানি। একই সঙ্গে আধুনিক চাষাবাদে রয়েছে তার ব্যাপক আগ্রহ। গতানুগতিক কৃষির পরিবর্তে নতুন জাতের ধান উৎপাদনে তিনি সাফল্য পেয়েছেন। লাভজনক হওয়ায় তার মতো এলাকার অনেকেই এখন নতুন জাতের ধান চাষের জন্য আগ্রহ দেখাচ্ছেন

কৃষক মিলন হোসেন জানান, তিন বছর আগে তিনি ব্রি-৫১ জাতের ধান চাষ শুরু করেন। সেই সময় তার জমিতে ভিন্ন ধরনের এক গোছা ধানের গাছ দেখা যায়। অন্য গাছের তুলনায় গাছগুলো বেশ শক্ত, লম্বা মোটা। তিনি গাছগুলোকে তুলে ফেলে না দিয়ে অন্য ধানের সঙ্গে রেখে দেন

পরে দেখেন ওই গোছার শীষে অনেক ধান। তখন তিনি সে ধানগুলোকে আলাদা করে কেটে রেখে দেন। পরে সেই ধানগুলো আলাদা করে চারা দিয়ে অল্প কিছু জমিতে চাষ করেন। পরের বছর সেখান থেকে বীজ সংগ্রহ করে পুনরায় দুই বিঘা জমিতে ধানের চাষ করেন

ধানের জাতের বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করে তিনি জানান, অন্য ধানের মতোই ধানের চাষ পদ্ধতি। আউশ, আমন বোরো তিন মৌসুমেই ধানের চাষ করা যায়। গাছের উচ্চতা অন্য ধানের তুলনায় বেশি। গাছগুলো শক্ত হওয়ায় হেলে পড়ে না। আর এক একটি ধানের শীষে ৭০০-৭৫০টি করে ধান হয় সাধারণ ধানের তুলনায় ছয় গুণ বেশি

ফলে এর উৎপাদনও অনেক বেশি। রোগ পোকামাকড়ের হার তুলনামূলক কম। ছাড়া চাল খুব চিকন ভাতও খেতে খুব সুস্বাদু

ধানের নামকরণ সম্পর্কে তিনি জানান, মেয়ের নামানুসারে ধানের নাম রেখেছেন ফাতেমা ধান

মিলন হোসেন জানান, বোরো মৌসুমে তিনি এক বিঘা জমিতে ৪৩ মণ ধান পেয়েছেন। যেহেতু ধান ইতোপূর্বে কেউ চাষ করেননি। তাই আশপাশের এলাকার চাষিরা এসে বীজ হিসেবে এই ধান কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। তিনি ৩০০ টাকা কেজি দরে ধান বিক্রি করছেন। প্রায় পাঁচ লাখ টাকার ওপরে তিনি ধান বিক্রি করেছেন

কুষ্টিয়া জেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা নাঈম হোসেন বলেন, সাধারণত প্রতিটি ধানের শীষে ১৫০-১৬০টি করে দানা থাকে। কিন্তু কৃষক মিলনের উদ্ভাবিত এই ধানের প্রতিটি শীষে ৭০০-৭৫০টি করে দানা হয়েছে। ধানের ফলন বিঘাপ্রতি ৫০ মণও হতে পারে


Bumper-Fatema-Paddy-yield-is-43-Mound

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ