মানুষের সঙ্গে কথা বলবে
মাথায় পরিহিত হেলমেট। বুঝতে পারবে মানুষের মনও। এমন হেলমেট তৈরি করেছে কারনেল নামে
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিপোর্নিয়ার
একটি বেসরকারি স্টার্ট-আপ নিউরোটেকনোলজি প্রতিষ্ঠান।
এতে এমনসব সেন্সর ও বৈদ্যুতিক যন্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে, যেগুলো মস্তিস্কের বৈদ্যুতিক
পালস ও রক্তে প্রবাহের গতি পরিমাপ এবং বিশ্নেষণ করতে পারে।
যে কেউ এই হেলমেট পরে ঘুরে বেড়াতে পারবে। গবেষকরা আশা করছেন, এর মাধ্যমে মস্তিস্কের অবস্থা, মানসিক অস্থিরতা, স্ট্রোকের মতো বিষয়গুলো আরও নিবিড়ভাবে অনুসন্ধান করা যাবে।
উদ্ভাবিত হেলমেটের ওজন দুই পাউন্ডের মতো। এটি ৫০ হাজার ডলারেই কেনা যাবে। মস্তিষ্কের রক্ত সঞ্চালন ও ইলেক্ট্রনিক্স ইমপালসের ভিত্তিতে এটি কাজ করবে। কর্নেলের প্রধান নির্বাহী ব্রায়ান জনসন বলেন, ‘আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যেই আমরা হেলমেটটি বাজারে আনব। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের গ্রাহকরা তা হাতে পেতে যাচ্ছে। এটি সহজেই মানুষের মনের ভাষা শনাক্ত করতে পারবে। তাছাড়া এটি মস্তিষ্কের বয়স বেড়ে যাওয়া, মানসিক রোগ বা এর পেছনের কারণ এবং বিভিন্ন মেটাফিজিক্যাল ডিসঅর্ডার শনাক্ত করার কাজ করতে সক্ষম।’
ব্রায়ান জনসন আরও বলেন, হেলমেটটি তৈরি করতে পাঁচ বছরেরও বেশি সময় লেগেছে। এ প্রকল্পে ব্যয় হয়েছে প্রায় ১১ কোটি ডলার। ‘এর মাধ্যমে উচ্চ রক্তচাপ ও কোলেস্টরল স্বাভাবিক আছে কী না সেটি পরীক্ষা করতে পারবেন।’ জনসন বলেন, ‘মানুষের মস্তিষ্ক নিয়ে বিভিন্ন পরীক্ষা করেই এটি তৈরি করা হয়েছে। আগামী ১০ বছরের মধ্যে অর্থ্যাৎ ২০৩০ সাল
হেলমেটটি স্মার্টফোন রেঞ্জের ভেতর আনতে চাই।’
মনোবিজ্ঞানী ও চিকিৎসকদের সঙ্গে পরামর্শ নিয়ে জনসন ক্যালিফোর্নিয়ায় স্টার্ট-আপ প্রতিষ্ঠান কর্নেল প্রতিষ্ঠা করেন। কারণ তখন তার মাথায় ঘুরছে এমন একটি হেলমেট বানানোর উচ্চাকাক্সক্ষা যা মানুষের মনের কথা বুঝতে পারবে। এর মাধ্যমে মস্তিষ্কের বয়স বৃদ্ধি, বিভিন্ন মানসিক রোগ কিংবা এর পেছনের কারণসহ আরও নানা কাজ করা সম্ভব।
The-helmet-device-that-will-give-the-overall-information-of-the-brain
0 মন্তব্যসমূহ