সর্বশেষ:. . .

8/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

Responsive Advertisement

৩ হাজার বছর পুর্বের ভয়ংকর যোদ্ধাদের DNA থেকে ক্লোন সেনাবাহিনী

 


সামরিক বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করতে প্রায় হাজার বছর আগের এক যাযাবর গোষ্ঠির ভয়ঙ্কর যোদ্ধাদের ক্লোন বানানোর চিন্তাভাবনা করছে রাশিয়া। তেমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সেরগেই শোইগু। খবর প্রকাশ করেছে ডেইলি মেইল, ইয়াহু ফাইন্যান্সসহ আরো বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম

জানা গেছে, এমন একটি বাহিনী তৈরি করার চেষ্টা করছে রাশিয়া যাদের হারানো প্রায় অসম্ভব হবে। সে জন্য প্রায় হাজার বছর আগের এক যাযাবর গোষ্ঠীর ভয়ঙ্কর যোদ্ধাদের ক্লোন বানানোর চিন্তাভাবনা করছে তারা। তবে কী কারণে এই বাহিনী গড়তে চায় তা স্পষ্ট নয়


সেনার সংখ্যায় এবং ক্ষমতার দিক দিয়ে বিশ্বের বৃহত্তম সেনাশক্তিগুলোর মধ্যে অন্যতম রাশিয়া। সেটিকে আরও শক্তিশালী করার নির্দেশ দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এরপরই বিষয়টি নিয়ে জোরালোভাবে কাজ শুরু করেছেন দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সেরগেই। পুতিনের ঘনিষ্ঠ বলেও পরিচিত তিনি

সেই লক্ষ্যেই ক্লোন যোদ্ধাদের বাহিনী তৈরি করার চিন্তা করছেন এই সেনা কর্মকর্তা। হাজার বছরের পুরনো যোদ্ধাদের দেহাবশেষ থেকে সংগৃহীত ডিএনএ নিয়ে ইতিমধ্যে গবেষণাও শুরু করে দেওয়া হয়েছে

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাইবেরিয়ার তুন্দ্রা অঞ্চল থেকে প্রায় দুদশক আগে ওই যাযাবর যোদ্ধাদের দেহাবশেষ উদ্ধার করা হয়েছিল। প্রকৃতিগত যোদ্ধা এই সেনারা মোঙ্গলদের পূর্বপুরুষ। সিথিয়ানস নামে পরিচিত গোষ্ঠীটি খ্রিস্টপূর্ব নবম শতাব্দী থেকে দ্বিতীয় শতাব্দী পর্যন্ত ইরানের বাসিন্দা ছিল। কথিত আছে, ইউরেশিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকায় প্রভাব ছিল তাদের


সেই যোদ্ধাদের জিন থেকেই রাশিয়ার জন্য হুবহু নকল সেনা বানানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন সেরগেই। গত এপ্রিলে রাশিয়ার জিওগ্রাফিকাল সেসাইটির একটি অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, সাইবেরিয়ার তুন্দ্রা অঞ্চল থেকে পাওয়া সিথিয়ানস যোদ্ধাদের ডিএনএ থেকে কিছু একটা বানানো যাবে। আর তা ভালো কিছুই হবে বলেই আশা করি।

ওই মঞ্চে সেরগেই সরাসরি মানুষের ক্লোন বানানোর কথা উল্লেখ না করলেও স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, যোদ্ধাদের দেহাবশেষ থেকে কিছু জৈব কোষের সন্ধান পাওয়া গেছে। যা ক্লোন বানানোর জন্য কাজে লাগতে পারে।

ক্লোন বা ক্লোনিং হল  কোন জীবের একটি দেহকোষ হতে হুবুহু ঔ জীবটিকে পুনরায় তৈরি করার পদ্ধতি ।আণবিক জীববিজ্ঞানীরা দৈনন্দিন আরেক প্রকার ক্লোনিং করে থাকেন যা হল ডি এন এ ক্লোনিং। ক্লোনিং হল কোন জিনগত ভাবে কোন জীব বা প্রাণীর  হুবহু প্রতিলিপি তৈরি করা।


১৯৯৭ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি স্কটল্যান্ডের রসলিন ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা ঘোষণা করেন, একটি প্রাপ্তবয়স্ক ভেড়াকে ক্লোন করেছেন তাঁরা। তবে ঘোষণা তখন এলেও ডলির জন্ম আসলে ১৯৯৬ সালের ৫ জুলাই। ডলির নামকরণ করা হয় আমেরিকার বিখ্যাত শিল্পী ডলি পের্টনের নামে। ডলি হলো মানব-ইতিহাসে প্রথম সফল স্তন্যপায়ী প্রাপ্তবয়স্ক ক্লোন প্রাণী।

এ বিষয়ে বিজ্ঞানীরা বলছেন, সাইবেরিয়ার যে অঞ্চলে  সিথিয়ানস সেনাদের দেহাবশেষ পাওয়া গেছে, সেখানে তাপমাত্রা অত্যন্ত কম। সারা বছর সেখানকার আবহাওয়া ঠান্ডায় জমে থাকে। ফলে ৩ হাজার বছরের পুরানো দেহ  থেকেও কিছু জৈব অবশেষ পাওয়া সম্ভব যা ক্লোন তৈরীর কাজে লাগতে পারে।


মানুষের ক্লোন এখনও তৈরী করতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। প্রকাশ্যে কোন প্রতিষ্ঠান বা দেশ ক্লোন করার দাবিও করেনি । সাধারনত ক্লোন করার জন্য পুরানো কোষে নিউক্লিয়াস স্থানান্তর করার প্রয়োজন হয়। মানব কোষের দুটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় প্রেটিনকে অক্ষত রেখে সম্পুর্ণ করতে হয় এই প্রক্রিয়া। কিন্তু দুটি নিউক্লিয়াস এত কাছাকাছি থাকে যে, তাদের ক্ষতি না করে নিউক্লিায়সকে সরানো প্রায় অসম্ভব। এই সমস্যার জন্য আজও মানুষের ক্লোন করা যায়নি।

তবে মানব ক্লোনিং আগামী ৫০ বছরের মধ্যে ঘটতে পারে বলে ২০১২ সালে দাবি করেন নোবেল পুরষ্কার প্রাপ্ত ব্রিটিশ জীববিজ্ঞানী স্যার জন গুডন।  যার গবেষণা ৫০ এবং ৬০ এর দশকে ব্যাঙের ক্লোনিংয়ের ফলে ১৯৯৬  সালে ভেড়া ডলির পরবর্তী সময়ে ক্লোন তৈরি হয়েছিল। তিনি বলেছিলেন যে মাতাপিতা যারা তাদের সন্তানদের মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় হারিয়েছেন তারা আগামী কয়েক দশকে প্রতিস্থাপনের ক্লোন করতে সক্ষম হবেন।

 



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ