সর্বশেষ:. . .

8/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

Responsive Advertisement

মিয়ানমারের গোলরক্ষক খেলতে এসে জাপানে রাজনৈতিক আশ্রয়

 



কাতারে অনুষ্ঠেয় ২০২২ বিশ্বকাপ ফুটবলের বাছাইপর্বে অংশ নিতে গত মাসের শেষ দিকে জাপানে এসেছিল মিয়ানমারের জাতীয় ফুটবল দল ২৮ মের ম্যাচে মিয়ানমারকে ১০ গোল হজমও করতে হয়েছে দলের অতিরিক্ত গোলরক্ষক ছিলেন ২৭ বছর বয়সী পায়ে লিয়ান আউং খেলা শুরু হওয়ার আগে মিয়নামারের জাতীয় সংগীত বেজে উঠলে ডান হাতের তিনটি আঙুল ওপরে তুলে ধরে সামরিক জান্তার বিরোধিতা করার বার্তা দিয়ে সংবাদ শিরোনামে আসেন তিনি উঁচুতে তুলে ধরা তাঁর বাহুতে ইংরেজিতে লেখা ছিল, ‘We need Justice’ বাআমরা ন্যায়বিচার চাই

জাপানের বিপক্ষে ম্যাচের পরও মিয়ানমারের জাতীয় দল ১৫ জুন তাজিকিস্তানের বিপক্ষে বাছাইপর্বের ম্যাচের জন্য জাপানে থেকে যায়। ম্যাচটি ইয়াঙ্গুনে হওয়ার কথা থাকলেও মিয়ানমারের অভ্যুত্থানপরবর্তী অস্থিরতার কারণে ফিফা ভেন্যু নিয়ে আসে জাপানের ওসাকায়। কারণেই মিয়ানমার দলকে ২৮ মে জাপানের বিরুদ্ধে খেলার পরও জাপানেই থেকে যেতে হয়


পায়ে লিয়ান আউং পুরোটা সময় দলের সঙ্গে অনুশীলন ক্যাম্পে থাকলেও ২৮ মের ঘটনার পর থেকে ছিলেন অন্যদের নজরদারিতে। তবে শেষ পর্যন্ত দলের সঙ্গে মিয়ানমারে না ফিরে তিনি আপাতত জাপানে থেকে যেতে সক্ষম হয়েছেন। পায়ে লিয়ান আউং লম্বা সময়ের জন্য জাপানে থাকতে পারবেন কি না, সেটি জাপানের অভিবাসন কর্তৃপক্ষ যাচাই-বাছাই শেষে সিদ্ধান্ত নেবে। তবে জাপানের সংবাদমাধ্যম বলছে, জাপান সরকারের সামরিক জান্তাবিরোধী অবস্থান এবং জাপানের জনগণের মধ্যেও সহানুভূতি থাকায় মিয়ানমারের এই ফুটবলার সম্ভবত অল্প সময়ের মধ্যে শরণার্থী মর্যাদাই পেয়ে যাবেন

মিয়ানমারের জাতীয় দল গতকাল বুধবার রাতে কানসাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দেশের উদ্দেশে যাত্রা করেছে। অতিরিক্ত গোলরক্ষকও দলের অন্য সদস্যদের সঙ্গে মালামাল সঙ্গে নিয়ে বিমানবন্দরে উপস্থিত হয়েছিলেন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে জাপানের কর্তৃপক্ষের কাছে নিজের অবস্থা বর্ণনা করে বিমানে আরোহণ করতে অস্বীকৃতি জানান তিনি। তাঁর শঙ্কা, দেশে ফিরে গেলে তাঁর জীবনের কোনো নিশ্চয়তা থাকবে না

বিমানবন্দরের অভিবাসন কর্মকর্তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে পায়ে লিয়ান আউংকে বিমানবন্দরে থেকে যাওয়ার অনুমতি দেন। সেখানেই আজ ভোরে জাপানের কয়েকজন সাংবাদিককে তিনি বলেন, দেশে ফিরে গেলে জীবন বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কা থাকাতেই তিনি জাপানে আশ্রয় নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। পরে ওসাকায় নিজের আইনজীবীর সঙ্গে এক সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে তিনি বলেছেন, অল্প কিছুদিনের মধ্যেই তিনি জাপানে শরণার্থী মর্যাদা পেতে আবেদন জমা দেবেন


Myanmar's-goalkeeper-came-to-play-political-asylum-in-Japan

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ