হাসপাতালের কভিড ইউনিটে ৫ মিনিট অক্সিজেন বন্ধ রাখলে কে কে বেঁচে থাকবে জানার জন্য আয়োজিত 'মক ড্রিলে' ভারতের আগ্রার একটি নার্সিং হোমে মৃত্যু হয়েছে ২২ কভিড রোগীর। গত ২৬ ও ২৭ এপ্রিল ওই নার্সিং হোমটিতে এ ঘটনা ঘটে বলে ভারতের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে।
ঘটনাটির একটি ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়লে তাতে দেখা যায়, রোগীদের অবস্থা সংকটাপন্ন থাকা সত্ত্বেও এই কাজ করার অনুমতি দেন প্রতিষ্ঠানটির মালিক অরিঞ্জয় জৈন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, কর্তৃপক্ষের এই জীবন-মৃত্যু খেলা চলাকালে ওই ইউনিটে ৯৭ জন রোগী ভর্তি ছিলেন। যাদের মধ্যে ২২ জনই পাঁচ মিনিট অক্সিজেন না পেয়ে মারা যান।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ওই নার্সিং হোমের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা ছাড়াও সেখানে থাকা রোগীদের অন্যত্র স্থানান্তরিত করা হয়েছে। এছাড়া একটি এফআইআরও দায়ের করা হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে অরিঞ্জয় জৈনকেও।
কাউকে কিছু না-জানিয়ে গোপনে অক্সিজেনের মক ড্রিল চালানো হয় বলে অভিযোগ। অক্সিজেনের সংকটের সময়ে কোনো কভিড রোগী অক্সিজেন ছাড়া থাকতে পারবেন, আর কারা পারবেন না, তা বুঝে নিতে রোগীদের অক্সিজেন দেওয়া বন্ধ করে দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ৷অভিযোগ, ভাইরাল হওয়া একটি অডিও ক্লিপে এই কথা স্বীকার করেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের একজন। জানা গেছে এমন 'মারণ' মক ড্রিল চলাকালীনই মুহূর্তে নীল হয়ে যায় রোগীদের দেহ।
সকাল ৭টা নাগাদ ৫ মিনিটের জন্য গোটা হাসপাতালে অক্সিজেন বন্ধ রাখা হয় ৷এতে ২২ জন রোগী সঙ্কটাপন্ন হয়ে পড়েন। অক্সিজেনের অভাবে কাউকে না জানিয়েই 'মক ড্রিল'-এর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। পাঁচ মিনিটের জন্য বন্ধ রাখা হয় অক্সিজেন-সেবা। হাসপাতালের মালিকের দাবি 'প্রয়োজনে রোগীরা অক্সিজেন ছাড়া বেঁচে থাকতে পারেন কি-না, তা দেখার জন্যই অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়'।
0 মন্তব্যসমূহ