নাইজেরিয়ান স্ট্রাইকার এলিটা কিংসলে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পেয়েছেন অনেক দিন হয়েছে। জাতীয় পরিচয় পত্রও মিলেছে কিছুদিন হলো। এবার এলিটা কিংসলে পেলেন বাংলাদেশি পাসপোর্ট। বুধবার সকালে দশ বছর মেয়াদী ই-পাসপোর্ট গ্রহণ করেছেন নাইজেরিয়ার নাগরিকত্ব প্রত্যাহার করে আসা এই স্ট্রাইকার।
লাল-সবুজ পাসপোর্ট হাতে পেয়ে এই ফুটবলার এখন খুব আপ্লুত। বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন,‘আমি ফুটবলার, সব সময় খেলতে চাই। জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্টের জন্য খেলতে পারছিলাম না। এখন আমি বাংলাদেশি হিসেবে ফুটবল খেলতে পারবো। আর কোন বাধা নেই। আমি শিগগিরই মাঠে নেমে ক্লাবের হয়ে খেলতে চাই। এরপর বাংলাদেশ দলে জায়গা করে নিতে চাই। যদিও পথটা সহজ নয়। পারফরম্যান্স দেখিয়ে জায়গা করে নিতে হবে।’
এলিটা কিংসলে নাইজেরিয়ান হিসেবে বাংলাদেশের ঘরোয়া ফুটবল খেলছেন দশ বছর ধরে। এর মধ্যে বাংলাদেশি মেয়ে লিজাকে বিয়ে করেছেন বছর পাঁচেক হলো। তখন থেকেই বাংলাদেশের নাগরিক হওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। সফলও হয়েছেন। মার্চে বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে নাগরিকত্ব সনদ পেয়েছেন। লকডাউনের জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র পেতে তার দেরি হয়। শেষ পর্যন্ত এক সপ্তাহ আগে তার হস্তগত হয়েছে জাতীয় পরিচয়পত্র। অবশেষে আজ পেলেন ই-পাসপোর্ট। এরফলে বসুন্ধরা কিংসের হয়ে ঘরোয়া লিগে অংশগ্রহণ করার জন্য আর কোন বাধা রইলো না কিংসলের।
বাংলাদেশে ক্রীড়াঙ্গনে বিদেশিদের মধ্যে প্রথম পাসপোর্ট পেয়েছিলেন বিংশ শতাব্দীর সেরা ক্রীড়াবিদ বক্সার মোহাম্মদ আলি। ১৯৭৮ সালে বাংলাদেশ সফর করেছিলেন সেই বক্সার। এর প্রায় বিশ বছর পর বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক কোচ ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার গর্ডন গ্রিনিজকে সম্মানসূচক নাগরিকত্বের পাশাপাশি ১৯৯৭ সালে বাংলাদেশের পাসপোর্ট প্রদান করা হয়। গর্ডনের প্রায় দুই যুগ পর আরেকজন ‘বিদেশি’ ক্রীড়াবিদ বাংলাদেশি পাসপোর্ট পেলেন। তারা দুজন সম্মাননাসূচক নাগরিকত্ব ও পাসপোর্ট পান।
0 মন্তব্যসমূহ