রাশিয়া তার দেশের দ্বীপগুলোতে বিরাট আকারের এক সামরিক মহড়া শুরু করেছে। ঐ দ্বীপগুলো দেশের উত্তরাঞ্চলের ভূখণ্ড হিসাবে জাপান দাবি জানিয়ে আসছে।
রাশিয়ার পূর্বাঞ্চলের সামরিক বিভাগ জানায় যে ২৩ জুন ২০২১ থেকে শুরু করে আগামী পাঁচ দিন ধরে ঐ মহড়া চলবে এবং এটি দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে গেছে, এমন এক দৃশ্য কল্পনা করে তার ভিত্তিতে পরিচালনা করা হচ্ছে। এতোরোফু এবং কুনাশিরি দ্বীপমালা সহ শাখালিন এবং অন্যত্রও এই মহড়া চালানো হচ্ছে।
দশ হাজারের বেশি সেনা এতে যোগ দেবে। এছাড়া ৫০০টি পর্যন্ত সামরিক যান, প্রায় ৩০টি বিমান এবং প্রায় ১০টি জলযান এতে অংশগ্রহণ করছে। মহড়ার মধ্যে অবতরণ অভিযান অর্ন্তভুক্ত থাকবে।
প্রশান্ত মহাসাগর এবং ওখোতস্ক সাগরকে যুক্ত করার কারণে ওই দ্বীপমালা এবং তার চারিপাশের এলাকাকে রাশিয়া কৌশলগত দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ হিসাবে বিবেচনা করে থাকে।
চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে রাশিয়া ঐ স্থানের প্রশিক্ষণ এলাকায় সামরিক মহড়ার পরিচালনা করে যেখানে এক হাজারের বেশি সেনা অংশ নিয়েছিল।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন যে রাশিয়ার বারংবার মহড়া চালানোর উদ্দেশ্য হল ঐ দ্বীপমালার উপর তাদের দাবি জাহির করা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করে দেয়া। মস্কোর ধারনা যে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্র তাদের সামরিক ক্ষমতা বৃদ্ধির চেষ্টায় রয়েছে।
জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় টোকিওতে রাশিয়ার দূতাবাসের কাছে এই বলে প্রতিবাদ দাখিল করেছে যে উত্তরাঞ্চলের ভূখণ্ডে সামরিক ক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে জাপানের অবস্থানের বিরোধিতা করা হচ্ছে।
জাপানের দাবি যে এতোরোফু, কুনাশিরি এবং অন্যান্য দুটি দ্বীপ রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
ঐ দ্বীপগুলো জাপানের ভূখণ্ডের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে জাপান সরকার তাদের অবস্থান বজায় রেখে আসছে। জাপান সরকার বলছে দ্বীপগুলো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে অবৈধভাবে দখল করে নেয়া হয়।
Russia-conducted-military-exercises-in-the-islands-claimed-by-Japan
0 মন্তব্যসমূহ