এ রায়কে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হিসেবে আখ্যয়িত করেছেন নাভালনি সমর্থকরা। তারা বলছেন, আসন্ন পার্লামেন্ট নির্বাচনের কয়েক মাস আগে পুতিনবিরোধীদের স্তব্ধ করে দেওয়ার হীন উদ্দেশ্য নিয়ে এ রায় দেওয়া হয়েছে।
আলজাজিরার খবরে বলা হয়েছে— মস্কো সিটি কোর্টের দেওয়া এ রায় তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হয়েছে। ফলে নাভালনির প্রতিষ্ঠান ফাউন্ডেশন ফর ফাইটিং করাপশন (এফবিকে) এবং নেটওয়ার্ক অব রিজিওনাল অফিসার্স অ্যাক্রস রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা সরকারি কোনো পদ-পদবির জন্য প্রার্থী হতে পারবেন না।
অ্যাক্টিভিস্ট ও তহবিলদাতাদের বিচারের আওতায় এনে দীর্ঘ সাজা দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের মুখপাত্র আলেক্সি জাফেয়ারভ বলেন, এই সংগঠনগুলো সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ও শত্রুতাকে প্ররোচিত করে এমন তথ্যই শুধু ছড়িয়ে দেয়নি বরং তারা চরমপন্থি কার্যকলাপে লিপ্ত হয়েছে।
২০২০ সালের আগস্টে হত্যাচেষ্টার শিকার হয়েছিলেন নাভালনি। সেই সময় তিনি সাইবেরিয়ার টমসক শহর থেকে উড়োজাহাজে করে মস্কোয় ফিরছিলেন। যাত্রাপথে উড়োজাহাজেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।
তাকে বহনকারী প্লেনটি সাইবেরিয়ার ওমস্কে জরুরি অবতরণ করে। সেখানকার একটি হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে। তিনি কোমায় চলে যান। পরে চিকিৎসার জন্য তাকে জার্মানির বার্লিনে নেওয়া হয়। সেখানে ধীরে ধীরে সেরে ওঠেন তিনি।
বিশেষজ্ঞদের পরীক্ষা-নিরীক্ষার ভিত্তিতে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে জার্মান বিশেষজ্ঞরা জানান, নাভালনিকে রাশিয়ান নার্ভ এজেন্ট 'নোভিচক' প্রয়োগ করা হয়েছিল। পরে অন্যান্য দেশের বিশেষজ্ঞরাও একই অভিমত দেন। বিষ প্রয়োগের জন্য সরাসরি পুতিনকে দায়ী করেন নাভালনি। তবে পুতিন এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন। এ ঘটনায় আন্তর্জাতিক তদন্তের আহ্বানও প্রত্যাখ্যান করেছে ক্রেমলিন।
দেশে ফিরলেই গ্রেফতারের হুমকি উপেক্ষা করে ২০২১ সালের ১৭ জানুয়ারি জার্মানি থেকে দেশে ফেরেন নাভালনি। বিমানবন্দরেই তাকে গ্রেফতার করা হয়। অর্থ আত্মসাতের পুরনো মামলায় গত ফেব্রুয়ারি মাসে তাকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এর ধারাবাহিকতায় ৯ জুন নাভালনির প্রতিষ্ঠিত সংগঠনগুলোও নিষিদ্ধ করেন রাশিয়ার আদালত।
Russia bans opposition leader Navalny's party
0 মন্তব্যসমূহ