তারের সাহায্যে পরী ও ফুলের আকর্ষণীয় ভাস্কর্য তৈরি করেন রবিন উইট। অনলাইনে তার সেসব ভাস্কর্যের ছবি ছড়িয়ে পড়ে। লাখ লাখ মানুষ সেইসব ভাস্কর্য দেখে মুগ্ধ হয়েছেন।
তিনি নিজের শিল্পকর্মের যে ছবি তুলেছেন, তা ফেসবুকে বিজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ পেয়েছে। কিন্তু রবিন উইট কোনো বিজ্ঞাপন দেননি।
তার ওয়েবসাইট থেকে ছবিগুলো চুরি করা হয়েছে। সারাবিশ্বের গ্রাহকের কাছে বাগানের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধির জন্য রবিনের তৈরি ভাস্কর্য বিক্রির কথা বলে ওই ছবিগুলো ব্যবহার করেছে দুস্কৃতিকারীরা।
এমনকি, ফেসবুক ব্যবহারকারীদের অন্য ওয়েবসাইট থেকে ছবিতে থাকা পণ্য কেনার কথা বলা হয়। টাকা পরিশোধ করার পরেও অনেকেই পণ্য পাননি এবং কাউকে কাউকে নিম্নমানের পণ্য সরবরাহ করা হয়েছে।
ফলে রবিনের ছোট্ট কিন্তু সফল পারিবারিক ব্যবসা আন্তর্জাতিক কেলেঙ্কারিতে অপরাধীরা ব্যবহার করছে। আর তা বন্ধ করতে রবিন তেমন কোনো পদক্ষেপই গ্রহণ করতে পারেননি।
রেডিও ফোর-এ ইউ অ্যান্ড ইয়োরস প্রোগ্রাম-এ রবিন বলেন, ভুয়া বিজ্ঞাপনগুলোর সংখ্যা ছিল অনেক।
তিনি আরো বলেন, সত্যিই আমি তিন সপ্তাহ ঘুমাতে পারিনি। যতবারই কেউ অন্য একজনকে রিপোর্ট করে যে- আপনি গিয়ে সেই উপাদানটি দেখুন; আপনি শারীরিকভাবে অসুস্থ বোধ করবেন।
তিনি আরো বলেন, ওই ছবিগুলো কার্যকরভাবে মুদ্রার মতো, যা আমাদের ব্যবসায়ের ট্র্যাফিক প্রবাহকে চালিত করে। এই কেলেঙ্কারি সেই মুদ্রাকে পুরোপুরি অবমূল্যায়ন করেছে।
0 মন্তব্যসমূহ