সর্বশেষ:. . .

8/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

Responsive Advertisement

পাগলা মসজিদের দানবাক্সে ২ কোটি ৩৩ লাখ টাকা, ৪ কেজি সোনা, বৈদেশিক মুদ্রা দান

 


প্রতি ৩-৪ মাস পর খুললেই কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দানবাক্স থেকে পাওয়া যায় বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার। এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি। প্রায় পাঁচ মাস পর মসজিদটির দানবাক্স খোলা হলে পাওয়া যায় দুই কোটি ৩৩ লাখ ৯৩ হাজার টাকা। এছাড়াও বিভিন্ন বৈদেশিক মুদ্রা ও বেশকিছু স্বর্ণালংকার পাওয়া গেছে।

শনিবার (১৯ জুন) সকাল ৯টায় দানবাক্স খোলার পর বিকেলে গণনা শেষে টাকার এই হিসাব পাওয়া যায়।

কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের পরিচালনা পর্ষদ সদস্যরা বলছেন, সকাল নয়টার দিকে দুই শতাধিক মানুষ বারোটি বস্তায় পূর্ণ এসব মুদ্রা গুনতে শুরু করেন।


কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসন তত্ত্বাবধানে বিকেল নাগাদ গণনা শেষে দেখা যায়, সেখানে ছিল, ২ কোটি ৩৩ লাখ ৯৩ হাজার ৭৮৯ টাকা। আরো ছিল প্রায় চার কেজির মত সোনা ও রূপার গহনা। বিদেশি মুদ্রার মধ্যে ছিল ভারতীয় রুপি সবচাইতে বেশি। আরো পাওয়া গেছে ডলার, ইউরো, সৌদি রিয়েল, ইয়েন, দিনার ইত্যাদি বিদেশি মুদ্রা।

শনিবারের অর্থ গণনায় অংশ নিয়েছেন ১২৭ জন ছাত্র, ৫২ জন ব্যাংক কর্মকর্তা ও মসজিদ কমিটির ৩৩ জন সদস্য।

কিশোরগঞ্জ শহরের পশ্চিমে হারুয়া এলাকায় নরসুন্দা নদীর তীরে পাগলা মসজিদটি অবস্থিত। মসজিদ কেন্দ্র করে রয়েছে একটি ধর্মীয় কমপ্লেক্স।

অনেকদিন আগে একজন পাগলা সাধক এখানে অবস্থান করতেন। পরে তিনি সেখানেই মারা যান। পরবর্তীতে ওইখানে মসজিদ হয় আর সেটার নামকরণ হয় পাগলা মসজিদ।'' মসজিদটিতে মুসলমানদের পাশাপাশি ভিন্ন ধর্মাবলম্বীরাও দান করেন।

জনশ্রুতি আছে, এখানে মানত করলে মনোবাঞ্ছা পূর্ণ হয়। এই কারণে দুই তিনমাস পরপর এখানকার সিন্দুক ভরে যাচ্ছে টাকা, স্বর্ণ ও বৈদেশিক মুদ্রায়।


টাকা গণনার কাজ তদারকি করেন কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা মাজিস্ট্রেট ফরিদা ইয়াসমিন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুলহাস হোসেন সৌরভ, মো. ইব্রাহীম, মাহামুদুল হাসান, মো. উবায়দুর রহমান সাহেল, পাগলা মসজিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. শওকত উদ্দিন ভুঁইয়া প্রমুখ।

টাকা গণনার কাজে মসজিদের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। এ সময় সিন্দুক খোলা কমিটির সদস্যরা ছাড়াও প্রশাসনের কর্মকর্তা, মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্যরা ও সার্বক্ষণিক দায়িত্বরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।


জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদের সভাপতি মোহাম্মদ শামীম আলম দুপুরে টাকা গণনার কাজ দেখতে মসজিদে যান। এদিকে টাকা গণনা দেখতে শহরের বিশিষ্ট ব্যক্তিরাসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ মসজিদে আসেন।

চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি সর্বশেষ মসজিদটির দানবাক্স খোলা হয়েছিলো। সেদিন দুই কোটি ৩৮ লাখ ৫৫ হাজার ৫৪৫ টাকা পাওয়া যায়। এর আগে গত বছরের ২২ আগস্ট সিন্দুক খোলা হলে এক কোটি ৭৪ লাখ ৮৩ হাজার ৭১ টাকা পাওয়া যায়।

 

2-crore-33-lakh-taka,-4-kg-gold,-foreign-currency-donation-in-the-donation box-of-Pagla-Mosque 

 

 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ