প্রায় এক একর আয়তনের জায়গা নিয়ে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) ময়নসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার আঠারবাড়ি ডিজিটাল টেলিফোন এক্সচেঞ্জ। আর এর আওতায় রয়েছে ১২৪টি টেলিফোন সংযোগ। গত প্রায় ১০ বছর ধরে গ্রাহকরা এই সেবা থেকে বঞ্চিত থাকলেও অচল এইসব টেলিফোনে প্রতিমাসে ন্যূনতম বিল আসছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন গ্রাহকরা।
বিটিসিএল সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৬ সালে ঐতিহ্যবাহি আঠারবাড়ি রায়ের বাজারে এনালগ (বাংলাদেশ তার ও টেলিফোন বোর্ড) টেলিফোন একচেঞ্জ স্থাপিত হয়। এরপর ২০০৮ সালের ১ জুলাই বিটিবিকে পুনর্গঠন করে নাম দেওয়া হয় বিটিসিএল। পর্যায়ক্রমে বৃহৎ এই বাজারটিতে ১২৪টি সংযোগ নেন গ্রাহকরা। ২০১১ পর্যন্ত কোনমতে বেশ কয়েকটি টেলিফোন সংযোগ চালু থাকলেও এরপর থেকে পুরোপুরি অচল হয়ে যায় টেলিফোন সংযোগ। গ্রাহকরা ব্যবহার করতে গিয়েও টেলিফোনটি বিকল থাকায় স্থানীয় একচেঞ্জ অফিসে যোগাযোগ করেও কাউকে পাননি। এ অবস্থায় বিকল্প হিসেবে তারা মোবাইলের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েন। কিন্তু প্রতি মাসেই নিয়মিত তাদের কাছে আসে ন্যূনতম বিলের কাগজ। বেশ কয়েক বছর এভাবে বিল আসলেও হঠাৎ ৫/৬ মাস পর পর একসাথে বিল আসছে। এ অবস্থায় ক্ষুব্ধ গ্রাহকরা এই সব বিলের কাগহজকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করলেও মোটা অঙ্কের টাকা বকেয়া হচ্ছে। এসব গ্রাহকদের মধ্যে অনেকেই বকেয়া বিল পরিশোধ করে সংযোগ বিচ্ছিন্নের আবেদন করছেন। তবে অদৌ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হচ্ছে কিনা তা তারা জানতে পারেননি।
টেলিফোন সংযোগ আছে অথচ কাজে আসছে না এমন একজন গ্রাহক হচ্ছেন মো. মোস্তাফিজুর রহমান পলাশ। তিনি জানান, প্রায় দশ বছর আগে সংযোগ নিয়ে বছর খানেক কোনমতে সেবা পাচ্ছিলেন। এরপর থেকেই অচল। কিন্তু প্রতিমাসেই ন্যূনতম বিল দিয়ে যাচ্ছেন। এ অবস্থায় সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার জন্য অনেকবার চেষ্টা ছাড়াও স্থানীয় কর্মকর্তা বা কর্মচারীদের দেখা না পাওয়ায় কিছুই করতে পারছেন না। এখন এই সংযোগ নিয়ে বড়ই বেকায়দায় পড়েছেন। আজিজুল ইসলাম রাসেল নামে এক গ্রাহক বলেন, তিনি গত পাঁচ মাস আগে ময়মনসিংহ অফিসে গিয়ে আবেদন করে দুইটি সংযোগের ২৪ হাজার টাকা ভুতুড়ে বিল দিয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্নের আবেদন করেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল) ময়মনসিংহ অঞ্চলের ডিজিএম হানিফ উদ্দিন কালের কণ্ঠকে জানান, আঠারবাড়ির সংযোগটি কেন্দুয়ার সাথে সংযুক্ত। সেখানকার সড়কের কাজ চলমান থাকায় সংযোগ লাইন কাটা পড়েছে। সড়কের কাজ তো গত পাঁচমাস ধরে চলছে আর টেলিফোন অচল গত দশ বছর ধরে এ রকম প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, এটা আমার জানা নেই। কেউ আমাকে জানাই নাই। তাছাড়া আমি অসুস্থ, ছুটিতে আছি।
0 মন্তব্যসমূহ